ভাটপাড়া নীলকুঠি – মেহেরপুর

ভাটপাড়া নীলকুঠি (Bhatpara Neelkuthi) গাংনী উপজেলার অন্যতম উলেস্নখযোগ্য নীলকুঠি যা গাংনী থানার সাহারবাটি ইউনিয়নের ভাটপাড়ায় অবস্থিত। ১৮৫৯ সালে স্থাপিত ধ্বংস প্রায় এই নীলকুঠিটি ইট, চুন-শুরকি দ্বারা নির্মাণ করা হয়। এর ছাদ লোহার বীম ও ইটের টালি দিয়ে তৈরী।

এই কুঠির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কাজলা নদী। গাংনী উপজেলার উত্তর প্রান্ত ঘেঁষে ঐতিহাসিক কাজলা নদীর তীরে অবস্থিত জাতীয় জীবনের ও সভ্যতার স্মারক ভাটপাড়া নীলকুঠি। ৮০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৭০ ফুট প্রস্থবিশিষ্ট মূল ভবনটি এখনও দাঁড়িয়ে আছে ব্রিটিশ বেনিয়াদের নির্যাতনের  সাক্ষী হিসেবে।

কুঠিভবন ও নীলগাছ আজও স্মরণ করিয়ে দেয় নীলকরদের অত্যাচার ও নির্যাতনের কথা। প্রচলিত আছে গভীর রাতে এখানে এসে দাঁড়ালে শোনা যায় নর্তকীদের নূপুরের আওয়াজ ও চাষিদের বুকফাটা আর্তনাদ। কালের সাক্ষী ভাটপাড়া কুঠিবাড়িতে আগে অনেক পর্যটক এলেও ধ্বংসাবশেষ দেখে হতাশ হয়েই ফিরতে হতো।

২০১৬ সালের শেষের দিকে কাজলা নদীর ধারের নীলকুঠি বাড়িটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। ২০১৭ সালের শুরুর দিকেই এর কাজ শুরু করা হয়। ইতিমধ্যে কুঠিবাড়ি ঘিরে কৃত্রিম লেক, ঝর্ণাধারা, বিভিন্ন পশু-পাখির মূর্তি, খেলাধুলার সরঞ্জাম, পানি ও পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা, চলাচলের রাস্তা, বাহারি সব ফুলের বাগান করা হয়েছে।

২৭ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত কুঠিবাড়িটির বেশকিছু জায়গা ভূমিহীনদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়ায় কমে গেছে এর আয়তন। এখনও যা আছে সেখানেই জেলা প্রশাসক / ডিসি ইকোপার্ক (DC Eco Park) গড়ে তোলা হয়েছে।

কিভাবে যাওয়া:

মেহেরপুর জেলা সদর থেকে সড়ক পথে দুরত্ব ১৭ কি: মি: । বাস, স্থানীয় যান টেম্পু/লছিমন/করিমন এর সাহায্যে ৪০মি: সময়ে ভাটপাড়া নীলকুঠিতে পৌঁছানো যায়।

তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপনায়: সাফায়েত,
সর্বশেষ আপডেট হয়েছে: March 11, 2018

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.