তিনবিঘা করিডোর – লালমনিরহাট

তিনবিঘা করিডোর ( Tin Bigha Corridor) হল একটি স্বতন্ত্র ভূমি যা ভারতের মালিকানাধীন তিন বিঘা জায়গার মধ্যে অবস্থিত। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেঘলীগঞ্জ জেলা ও বাংলাদেশের লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্তে অবস্থিত। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহলে যাতায়াতের সুবিধার্থে এটি বাংলাদেশকে ইজারার মাধ্যমে দেওয়া হয়।

দহগ্রাম-আংগরপোতা (Dahagram-Angarpota) হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এনক্লেভ যাকে বাংলায়  ছিটমহলও বলা হয় এবং যার লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায়। মোট ১৮.৬১ বর্গ কি:মি: আয়তনের এই গ্রামে প্রায় ১৭০০০ বাংলাদেশীর বসবাস এবং ৮০% মুসলমান।

তিস্তা পাড়ের এই গ্রামের চারপাশেই হলো ভারতীয় ভুখন্ড এবং বাংলাদেশের সিমান্ত থেকে এই ছিটমহল প্রায় ২০০ মিটার দূরে। আমরা অনেকেই তিনবিঘা করিডোরের নাম শুনেছি। আর এই ১৭৮ মি: দৈর্ঘ্য আর ৮৫ মি: প্রস্থের তিনবিঘা করিডোরই হচ্ছে দহগ্রামে যাবার একমাত্র পথ।

সর্বশেষ গত ৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ খ্রি. তারিখে ঢাকাতে অনুষ্ঠিত হাসিনা-মনমোহন বৈঠকে স্বাক্ষরিত চুক্তি মোতাবেক বাংলাদেশীদের যাতায়াতের জন্য তিনবিঘা করিডোর ২৪ ঘন্টা খোলা রাখা হচ্ছে। দিনে দিনে এই তিনবিঘা করিডোর রুপান্তরিত হচ্ছে এক পর্যটন কেন্দ্রে।

এ রাস্তাটি ব্যবহার করে আপনাকে সোজা দহগ্রাম (ছিটমহল) চলে আসতে হবে। করিডোরের মধ্যে ছবি তোলা ও এ রাস্তার ডানে বা বামে যাওয়া নিষেধ তাই একটু সাবধান থাকতে হবে।

দহগ্রাম-আংগরপোতা গ্রামটি বেশি বড় নয়, তবে একদমই সবুজে সবুজাভ… যা দেখতে খুবই ভালো লাগছিল। চারপাশের পরিবেশ এবং রাস্তার আশেপাশের মানুষগুলোকে দেখছিলাম, দেখছিলাম তাদের জীবনযাত্রা। ম্যাপ দেখে দেখে সোজা চলে আসলাম তিস্তার পাড়ে। ওপারেই ভারতীয় ভূখন্ড দেখা যাচ্ছিল। মজার বিষয় হচ্ছে দুই দেশের মানুষই এখানে একই নদী ব্যবহার করছে শান্তিপুর্ণভাবে।

কিভাবে যাবেন:

ঢাকা/রংপুর/জেলা সদর লালমনিরহাট থেকে সরাসরি বাস যোগে পাটগ্রামে আসা যায়। এছাড়া ও রংপুর/লালমনিরহাট থেকে প্রতিদিন ০৫ টি ট্রেনে পাটগ্রামে আসা যায়। পাটগ্রাম সদর থেকে দহগ্রাম তিনবিঘা করিডোরের দুরত্ব ০৯ কি:মি: । পাটগ্রাম থেকে সবসময়ে রিকসা/টেম্পু যোগে তিনবিঘা করিডোরে যাওয়া যায়।

তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপনায়: সাফায়েত,
সর্বশেষ আপডেট হয়েছে: March 14, 2018

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.