টেগর লজ – কুষ্টিয়া

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিমাখা ‘টেগর লজ’ আজও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কবির স্মৃতিবিজড়িত শিলাইদহ ‘কুঠিবাড়ি’ সবার কাছে পরিচিত হলেও তাঁর স্মৃতিধন্য ‘টেগর লজ’(Tagore Lodge) এখনও রয়েছে অনেকের কাছেই অজানা। কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়ায় কবি আজিজুর রহমান সড়কে অবস্থিত ‘টেগর লজ’ ভবনটির এখন বেহাল দশা। ভবনটি পূনরুদ্ধারের ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এটিকে ‘রবীন্দ্র মিউজিয়াম’ রূপান্তরের উদ্যোগ রয়েছে ফাইলবন্দী হয়ে। লাল দ্বিতল কারুকার্যখচিত ভবনটি এখন আর কারও দৃষ্টি কাড়ে না। হাতবদল ও বেদখলের কবল থেকে ভবনটি পুনরুদ্ধারের পর কুষ্টিয়া পৌর কর্তৃপক্ষ মিউজিয়াম স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু দীর্ঘ চৌদ্দ বছরেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। বিশ্বকবির স্মৃতিমাখা বাড়িটি যথাযথ মর্যাদা ও সংরক্ষণের অভাবে পড়ে আছে অবহেলা-অযতেœ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জমিদারীর দায়িত্বভার গ্রহণের পর শিলাইদহে আসেন ১৮৯২ সালে। সম্ভবত সে সময়েই ঠাকুর এস্টেটের জমিদারী দেখাশোনার জন্য কুষ্টিয়া শহরে কবি আজিজুর রহমান সড়ক সংলগ্ন মিলপাড়ায় প্রতিষ্ঠিত হয় ‘টেগর এ্যান্ড কোম্পানি’। আর টেগর এ্যান্ড কোম্পানির ব্যবসায়িক অফিস ছিল ‘টেগর লজ’। ১৮৯৫ সালে টেগর এ্যান্ড কোম্পানির অফিস হিসেবে টেগর লজ ব্যবসায়িক কাজ শুরু করে। তখন এর সদর দফতর ছিল কলকাতায়। এই ব্যবসার মূল ভূমিকায় ছিলেন কবির ভ্রাতুষ্পুত্র বলেন্দ্রনাথ ও সুরেন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথ পরে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন এবং এক পর্যায়ে তিনি ব্যবসার মূল দায়িত্ব বুঝে নেন। সে সময় ব্যবসার ব্যাপক প্রসার ঘটে। পাট, মসুরী, কালাই ইত্যাদি ছিল মূল ব্যবসা। রবীন্দ্রনাথ ভুষি মালের ব্যবসার পাশাপাশি পরে আখ মাড়াইয়ের কারখানাও চালু করেন।

 

অবস্থানঃ

কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়ায় কবি আজিজুর রহমান সড়কে অবস্থিত ‘টেগর লজ’ ভবনটির এখন বেহাল দশা।

তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপনায়: সাফায়েত,
সর্বশেষ আপডেট হয়েছে: February 23, 2018

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.