চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা

নগর জীবনের ক্লান্তিকর এক ঘেঁয়েমি থেকে নগরবাসীকে একটু বিনোদনের ছোঁয়া দিতে ফয়’স লেকের পাশে সবুজে ঘেরা বনবীথির বেষ্টনীতে ১৯৮৯ সালে তৈরি করা হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা(Chittagong Chiriyakhana)। ৬ একর জায়গার উপর বানর, সিংহ, হরিণ ও হনুমান এই চারপ্রজাতির ১৬টি প্রাণী নিয়ে যাত্রা শুরু হয় এর।বর্তমানে এই চিড়িয়াখানায় ৭২ প্রজাতির মোট ২৮০টি প্রাণী রয়েছে। যার মধ্যে ৩০প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৮ প্রজাতির পাখি ও ৪ প্রজাতির সরীসৃপ। ২০০০ সালে এখানকার প্রাণীর সংখ্যা ছিল ২৫০টি। গত ৭ বছরে মাত্র ৩০টি নতুন প্রাণী যোগহয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে প্যারা হরিণ, ধনেশ, তিতির, হনুমানপ্রভৃতি।
১৯৮৮ সালে, চট্টগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক এম এ মান্নান এবং চট্টগ্রামের অন্যান্য অভিজাত ব্যক্তিবর্গ প্রাথমিকভাবে ফয়েজ লেকে চিত্তবিনোদন, শিক্ষা এবং গবেষণার উদ্দেশ্যে চিড়িয়াখানা স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। পরবর্তিতে ১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি এই চিড়িয়াখানা সাধারণের জন্যে উন্মুক্ত করা হয়।প্রথমদিকে এক টিকিটেই চিড়িয়াখানা এবং ফয়’স লেকে প্রবেশের সুযোগ থাকলেও ১৯৯৫ সালে দর্শনার্থীদের স্বাচ্ছন্দ্যের পাশাপাশি বাড়তি লাভের বিষয়টি বিবেচনা চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ দুইটি আলাদা গেটে পৃথক টিকিটের মাধ্যমে প্রবেশের ব্যবস্থা করে। ১৯৮৯ সালে চিড়িয়াখানা উদ্বোধনের পর টিকিটের মূল্য ছিল ১ টাকা। পরর্তীতে তা বৃদ্ধি করা হয় ২ টাকা, এভাবে পশু-পাখির সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে টিকিটের দামও। বর্তমানে প্রতি টিকিটের দাম ২০ টাকা

কিভাবে যাওয়া যায়:

উক্ত দশর্নীয় স্থানে যাওয়ার জন্য বাস বা অটোরিক্সা ব্যবহার করা যেতে পারে।

অবস্থান:
এটি ফয়ে’স লেক এর বিপরীত পাশে অবস্থিত।
0

তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপনায়: আবদুর রহমান,
সর্বশেষ আপডেট হয়েছে: February 14, 2018

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.